ক্ষমতায় আসার জন্য কেউ কেউ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘দাসত্ব গ্রহণ’ করতে মরিয়া বলে অভিযোগ তার।
হতে সংগ্রহিত
বাংলাদেশ তথা এই ভূখণ্ড ৫০০ বছর পরে হলেও অন্য দেশের দখলে চলে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
তিনি বলেন, “আজকে হোক, কালকে হোক, ১০০ বছর পরে হোক, ৫০০ বছর পরে হোক, এই ভূখণ্ড অন্য দেশ দখল করবে। এই ভূখণ্ডে স্বাধীনতা থাকবে না। এজন্য আমি মনে করি যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের মেজাজের মধ্যে দুনিয়া এবং আখিরাত উভয়ের মেজাজ না আসবে, ইসলামপন্থিরা ধ্বংস হয়ে যাব।”
শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘স্বাধীনতার পথরেখা – ৪৭, ৭১, ২৪: প্রেক্ষিত আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতায় আসার জন্য কেউ কেউ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘দাসত্ব গ্রহণ’ করতে মরিয়া অভিযোগ করে ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, “১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার মাধ্যমে আমরা ভৌগোলিক মুক্তি পেলেও মানুষের মুক্তি ও কল্যাণ এখনো সুদূর পরাহত। দেশের স্বাধীনতা এখনও পূর্ণতা পায়নি।”
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও চাঁদাবাজ, দখলবাজ, জুলুমবাজদের কারণে সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশে নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন না হলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না।”
ফয়জুল করীম বলেন, জনগণ মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছে। তাদের শাসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। শুধু দেশ, দল ও নেতা পরিবর্তন করে শান্তি আসবে না। শান্তি তখনই আসবে, যখন নীতি-আদর্শের পরিবর্তন আসবে এবং ইসলামের আদর্শকে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠা করা যাবে।
ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মানসুর আহমদ সাকীর সঞ্চালনায় বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল মোমেন, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, ব্র্যাকের এইচ আর অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট প্রাক্টিশনার ফারহান বাশার, বংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি জাহিদুজ্জামান, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ইসলামী যুব সমাজের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ খান, ইসলামী যুব মজলিসের সহ-সাধারণ সম্পাদক শাব্বির আহমদ।
