টিপি-লিংক নিষিদ্ধের বিষয়টি কেবল জাতীয় নিরাপত্তার কারণে নয়, বরং চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় ব্যবহারে আরেকটি চাপ দেওয়ার হাতিয়ার হতে পারে।
সংগৃহিত
টিপি-লিংক রাউটার নিষিদ্ধ করার দিকে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, ‘টিপি-লিংক’ রাউটার নিষিদ্ধে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্য পদক্ষেপকে সমর্থন করছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থা।
এ সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিজেদের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে রাউটার নিষিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওয়াশিংটন পোস্টকে, যাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও।
এ পদক্ষেপটি বিবেচনার জন্য এই গ্রীষ্মে ‘হোমল্যান্ড সিকিউরিটি’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিচার ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে অন্তর্ভুক্ত করে কয়েক মাস ধরে এক আন্তঃসংস্থা প্রক্রিয়া চালিয়েছে মার্কিন সরকার। জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে কোম্পানিটি নিয়ে গত বছর থেকে তদন্ত চলছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।
এ সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্বেগের বিষয়টি হচ্ছে ‘টিপি-লিংক’-এর সঙ্গে চীনের সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা। কোম্পানিটি ২০২২ সালে চীনের ‘টিপি-লিংক টেকনোলজিস’ থেকে আলাদা হয়ে স্বতন্ত্র এক কোম্পানি হিসেবে গঠিত হলেও দেশটির সঙ্গে এখনও সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ধারণা মার্কিন সরকারের।
চীনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করে টিপি-লিংক-এর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘টিপি-লিংক-এর বিরুদ্ধে কোনো নেতিবাচক পদক্ষেপ চীনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। আর, এমন কারণে আমেরিকান একটি কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।”
মার্কিন কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, তারা উদ্বিগ্ন কারণ, চীনের আইন অনুসারে, টিপি-লিংকে’কে চীনা গোয়েন্দা সংস্থার অনুরোধ মানতে হবে, এমনকি এজন্য কোম্পানিটির ডিভাইসে ক্ষতিকর সফটওয়্যার আপডেট চালাতে চাপ দেওয়াও হতে পারে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘টিপি-লিংক সিস্টেম’ বলেছে, ‘প্রফেশনাল রেগুলেশন কমিশন বা চীনা গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশের অধীনে নয়’ তাদের কোম্পানিটি।
যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম জনপ্রিয় রাউটারের মধ্যে একটি টিপি-লিংক। কোম্পানিটির দাবি, মার্কিন বাজারে তাদের শেয়ার ৩৬ শতাংশ।
তবে এ বছরের শুরুতে সাবেক মার্কিন সাইবার সিকিউরিটি কর্মকর্তা রব জয়েস কংগ্রেসকে বলেছিলেন, বাজারে টিপি-লিংকের শেয়ার প্রায় ৬০ শতাংশ।
টিপি-লিংক নিষিদ্ধের বিষয়টি কেবল জাতীয় নিরাপত্তার কারণে নয়, বরং চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় ব্যবহারে আরেকটি চাপ দেওয়ার হাতিয়ার হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে।