দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ।
হতে সংগৃহিত
সারাদেশের মত দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডেও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছে।
২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬ হাজার ২৬০ জন।
গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
পরিসংখ্যান বলছে, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০০৪ সালের পর এবারই সবচেয়ে বাজে ফল দেখল বাংলাদেশ।
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তাদের মধ্যে ৬৯ হাজার ৯৭ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে।
সবশেষ এরচেয়ে বাজে ফল হয়েছিল ২০০৪ সালে। সেবার ৪৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। তার পরের বছর, অর্থাৎ ২০০৫ সালে পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
সারাদেশের প্রভাব পড়েছে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডেও। সকালে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মহা. তৌহিদুল ইসলাম ফলাফল ঘোষণা করেন।
শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এবার এক লাখ পাঁচ হাজার ৮৯১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেছে ৬০ হাজার ৮৮২ জন।
এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ছয় হাজার ২৬০ জন। গত বছরের জিপিএ ৫ ছিল ১৪ হাজার ২৯৫ জন।
পাসের হার এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে বরাবরের মতো এবারও ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা এগিয়ে আছে। ছাত্রীদের পাশের হার ৬১ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে তিন হাজার ৪৮৬ জন।
ছাত্রদের পাসের হার ৫২ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে দুই হাজার ৭৭৪ জন।
শতভাগ পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ এ; যা গত বছর ছিল ২০টি।
শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমে ১১ হয়েছে। গত বছরের ছিল এই সংখ্যা ১৫টি।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মহা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “এবার সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে এবং যথাযথ খাতা মূল্যায়ন করা হয়েছে। গত বছরে জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে খাতার মূল্যায়ন করা হয়েছিল।”
“এবার ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এসব কারণে পাসের হার কমে এসেছে। তবে তিনি দাবি করেন এটি প্রকৃত ফলাফল।”
