৯ মাস থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বয়সী ১২ লাখ শিশু এই টিকা পাবে।
হতে সংগৃহিত
টাইফয়েড প্রতিরোধে এক মাস ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলে শিশুদের টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।
বুধবার গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চলবে। এই সময়ের মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯ মাস থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বয়সী ১২ লাখ শিশু এই টিকা পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, মোট ১৮ কর্মদিবসে ২১৮১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার ৭৯০ জন ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৯ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।
“১২ অক্টোবর হতে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মোট ১০ দিন টিকা দেওয়া হবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া) আবার ১৩ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে মোট ১৮ দিন টিকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্যাটেলাইট বা আউটরিচ ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে।”
ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, প্রতিটি দলে দুই জন টিকাদান কর্মী ও তিনজন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। ক্যাম্পেইনের সময় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
যেসব শিশুর জন্ম নিবন্ধন নেই তারা কীভাবে টাইফয়েড টিকা নিবে জানতে চাইলে ডিএনসিসের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, “অনলাইনে টাইফয়েড টিকা রেজিস্ট্রেশনের সময় শিশুর জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিতে হয়। তবে অনেক শিশুর জন্ম নিবন্ধন নেই। তারা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছে না। এমন শিশুরা টিকাদান কেন্দ্র এবং স্কুলে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় টিকা নিতে পারবে।”
টাইফয়েডের টিকাদানের জন্য ১ অগাস্ট থেকে অনলাইনে (vaxepi.gov.bd/registration/tcv) নিবন্ধন শুরু হয়েছে। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন সনদ।
ডিএনসিসি জানিয়েছে, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে এ টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
