সবশেষ এরচেয়ে বাজে ফল হয়েছিল ২০০৪ সালে; সেবার ৪৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল।
হতে সংগৃহিত
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০০৪ সালের পর এবারই সবচেয়ে বাজে ফল দেখল বাংলাদেশ।
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তাদের মধ্যে ৬৯ হাজার ৯৭ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে।
সবশেষ এরচেয়ে বাজে ফল হয়েছিল ২০০৪ সালে। সেবার ৪৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। তার পরের বছর, অর্থাৎ ২০০৫ সালে পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এরপর পাসের হার প্রতি বছরই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তা ৬৫ থেকে ৭৮ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।
২০২০ সালে মহামারীর কারণে পরীক্ষা হয়নি। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়নে সবাই পাস করে।
মহামারীর কারণে বিলম্বিত হয়েছিল ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষাও। কম বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষা কোভিড মহামারী আর বন্যার কারণে বিলম্বিত হয়েছিল। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়া সেই পরীক্ষায় ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে।
কোভিড মহামারীর পর ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথমবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছিল। সেবার পাস করে ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী।
২০২৪ সালে সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর বাকিগুলো আর নেওয়া সম্ভব হয়নি ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং সরকার পতনের পরের ঘটনাপ্রবাহের কারণে। যে পরীক্ষাগুলো হয়নি, সেগুলোর ক্ষেত্রে এসএসসির নম্বর বিবেচনায় নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে করা হয় মূল্যায়ন।পাসের হার দাঁড়ায় ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
খাতায় ‘গ্রেস মার্ক’ না দেওয়া হলে এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার ও জিপিএ ৫ যে এবার কিছুটা কমতে পারে, সে আভাস আগেই দিয়েছিলেন দীর্ঘ দিন উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করা সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদা।
বর্তমানে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ ইংরেজি বিভাগে কর্মরত থাকায় গত কয়েক বছর ধরে তিনি দায়িত্ব নিচ্ছেন না।
বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছিলেন, “গ্রেস মার্ক দেওয়ার কালচারটা শুরু থেকেই ছিল, এটা আসলে পরীক্ষকদের মানসিকতার ওপর নির্ভর করে। অনেক পরীক্ষক অনেকটা মায়া করেই ৩২ বা ৩১ পাওয়া পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়িয়ে দিতেন।
“আমি যখন পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছি, তখন কয়েকবার দেখেছি এ বিষয়ে পরীক্ষকদের উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে কখনও তা আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হত না।
তিনি বলেন, “এখন বোর্ড থেকে যদি গ্রেস মার্ক না দিতে বলা হয়, তার প্রভাব জিপিএ ৫ কিংবা পাসের হারে প্রতিফলিত হওয়াটা অস্বাভাবিক না।”
