এ মামলার ১ নম্বর আসামি আন্দোলন ঘিরে গঠিত ‘সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের’ প্রধান সমন্বয়ক আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়া।
হতে সংগৃহীত
সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চলমান বিক্ষোভ-অবরোধকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের ঘটনায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে পুলিশ।
ভাঙ্গা থানার এসআই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনে রোববার রাত ১০টার দিকে মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে ওসি মো. আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-চরভদ্রাসন-সদরপুর) আসন বিন্যাসকে কেন্দ্র করে ১১ সেপ্টেম্বর সকালে ম ম সিদ্দিক মিয়ার নেতৃত্বে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের আলগী ইউনিয়নের সোয়াদী এলাকায় সমাবেত হয়।
তারা অবৈধ দাবি বাস্তবায়নের নামে জনসাধারণকে স্বাভাবিকভাবে পথে চলতে না দিয়ে রাস্তার ওপর বড় বড় গাছ ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও শক্তির মহড়া প্রদর্শন করে ত্রাস এবং যানবাহনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাদের বাধা প্রদান করা হলে মারমুখী অবস্থান নেয়। পরে তাদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায়।
গত ৪ অগাস্ট নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসে ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে পাশের ফরিদপুর-২ আসনে সংযুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে গত ৫ দিনে তিন দফায় ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করেছে স্থানীয়রা।
এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। সবশেষ রোববারও সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার ও মঙ্গলবারও অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন বলেন, “এ মামলার ১ নম্বর আসামি আন্দোলন ঘিরে গঠিত ‘সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের’ প্রধান সমন্বয়ক আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
“এর আগে শনিবার গভীর রাতে নগরকান্দা থানার চাঁদহাট ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হবে। পাশাপাশি বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
এ মামলায় হামিরদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়াকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।