‘দেশের ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। এবার সময় এসেছে প্রতিদান দেওয়ার—দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ক্রিকেটের সম্ভাবনা ছড়িয়ে দেওয়ার।’
সংগৃহিত
বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে অনেক কিছু পেয়েছি আমি। দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি বিশ্ব আঙিনায়। নেতৃত্ব দিয়েছি বিশ্বকাপে। প্রথম টেস্টে ইতিহাস গড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। দেশের ক্রিকেট থেকেই এক পর্যায়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ও আইসিসিতে কাজ করেছি বছরের পর বছর। মনে হয়েছে, আমার কাছে দেশের ক্রিকেটের দাবি আছে। দেশের ক্রিকেটের পাওনা আছে। বিসিবি সভাপতি হিসেবে দেশের ক্রিকেটকে আমি প্রতিদানটুকু দিতে চাই।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের পালাবদল আমি দেখেছি কয়েকবার। যেমন, ছেলেবেলায় যখন ক্রিকেট অনুসরণ করতাম ও দেখতাম, তখন একবার। পরে নিজে খেলা শুরু করলাম। একটা সময় বাংলাদেশ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল। টেস্ট মর্যাদা পেল। এরপর ২৫ বছরের পথচলা।
আমি যদি তিন ভাগে ভাগ করি, তাহলে শুরুতে আসবে ভালোবাসা থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে দেখা। ১৯৭৭ সালে যখন এমসিসি এল বাংলাদেশে, স্বাধীনতার পর প্রথম আন্তর্জাতিক দলের সঙ্গে খেলা হল, তখন আমার বয়স দশের কাছাকাছি। মাঠের ক্রিকেটের কথা সেভাবে মনেও নেই। তবে এটা মনে রাখার মত ব্যাপার যে, ওই সময়েও ক্রিকেট কতটা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঢাকার বাইরে রাজশাহী, ফরিদপুর, যশোরে খেলা হয়েছিল।
পরে যখন খেলা শুরু করলাম, তখন ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়তে থাকার ব্যাপারটি চোখের সামনেই দেখলাম। সেই পরিক্রমায় ওয়ানডে মর্যাদা পেলাম আমরা, বিশ্বকাপে খেললাম, টেস্ট খেলুড়ে দেশ হলাম। খেলা ছাড়ার পর এতগুলো বছর ধরে বাইরে থেকে দেখলাম।
আমার কাছে সব সময় মনে হয়েছে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের কখনো কোনো লক্ষ্য ছিল না। লক্ষ্য বলতে বোঝাচ্ছি, আমাদের সম্ভাবনা কতটা এবং আমরা কী পেতে পারি। কিছু পাওয়ার জন্য একটা ভিশন ও মিশন থাকবে এবং দায়িত্বে যে-ই থাকুক, সব বোর্ড তা অনুসরণ করবে, এমন কিছু ছিল না কখনো। বিভিন্ন সময়ে বোর্ড বদল হয়েছে, মানুষ বদলেছে, চিন্তাও বদলে গেছে।
২০০৭ সালের দিকের একটি ঘটনা বলতে পারি। আমি তখন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলে কাজ শুরু করেছি সবে। তখন বিসিবিতে যারা ছিলেন, তাদের কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘আমরা কি কোনো পরিকল্পনা করছি? আমরা কি জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলার জন্য তৈরি হচ্ছি, নাকি ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি?’ এখন দেখুন, আমরা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, ওই জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে বেশি খেলছি। আমরা শীর্ষ চারে যেতে পারিনি বা ওই দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত খেলার পর্যায়ে যেতে পারিনি।
আমার কাছে এটা একটা বড় কারণ মনে হয়, আমাদের কখনো লক্ষ্য ছিল না। ভিশন ছিল না। আমরা কোথায় যেতে চাই, কোন পথে এগোতে চাই, সেসবের সুনির্দিষ্ট ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছিল না। কখনো কখনো হয়তো পরিকল্পনা ছিল, নতুন বোর্ড এসে ওটা ছুড়ে ফেলত বা নতুন করে শুরু করত। এগুলোর কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেক সময় থমকে গেছে।
তবে যেটা পেয়েছে বাংলাদেশ, মানুষের ভালোবাসা। গোটা দেশ ও দেশের মানুষকে একতাবদ্ধ করা, এক সুতোয় গাঁথা, ভেদাভেদ-রেষারেষি ভুলে সবাইকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসা, এই দেশে ক্রিকেটই সেটা পেরেছে। বিশ্বের বেশির ভাগ ক্রিকেট খেলুড়ে দেশে যা নেই। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর থেকে ক্রমেই এটা বেড়েছে এ দেশে।
কিন্তু এটাকে কাজে লাগানোর তেমন কোনো উদ্যোগ কখনো দেখা যায়নি। ক্রিকেটকে গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়নি। ছড়িয়ে দেওয়া বলতে, নীলফামারী- লালমনিরহাট বা দহগ্রাম বলুন, কুয়াকাটা বা পার্বত্য চট্টগ্রাম বলুন—সব জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার যে ব্যাপার, আমরা তা একদমই পারিনি।
একটা সময় মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ—তারা যখন ভালো খেলা শুরু করলে, তখন দেশব্যাপী ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠে গেল। আমরা অনেক ক্রিকেট ভক্ত তৈরি করতে পেরেছি। মূল কারণ ছিল, তাদের এবং পুরো দলের ভালো খেলা। তারা হয়তো বড় কোনো ট্রফি এনে দিতে পারেনি, তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটা অবস্থানে নিয়ে গেছে।
পাশাপাশি প্রচারের কথাও বলতে হবে। মিডিয়ায় তুমুল প্রচার পেয়েছে ক্রিকেট। ডিজিটাল প্রচার যদিও নেই, তবে মূলধারার সংবাদমাধ্যমে অসম্ভব ভালো প্রচার হয়েছে। ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা অন্য উচ্চতায় চলে গেছে। সেটি কাজে লাগিয়ে দেশের ক্রিকেটকে দেশের প্রতিটি কোনায় পৌঁছে দেওয়া যেত। সেখানে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
ক্রিকেটের ভিত ও অবকাঠামো আমরা কিছু গড়েছি। কিন্তু সেসবের পরিচর্যা ও চর্চা এত বাজে হয়েছে, দেশের ক্রিকেট তাতে উপকৃত হয়নি। চট্টগ্রামে বা খুলনার মাঠে গেলে দেখা যায়, কত খারাপভাবে মেইনটেইন করা হয়েছে। কিংবা ফতুল্লা স্টেডিয়াম আমাদের চোখের সামনে নষ্ট হয়েছে, আবার ঠিক করা হচ্ছে। মৌলিক জায়গাগুলোয় কখনো আমরা মনোযোগ দিইনি। দেশজুড়ে খেলা চালু করা, ক্রিকেট শিক্ষক তৈরি করা, আম্পায়ার তৈরি করা—এসব আমরা পারিনি। এর মধ্যেও মেয়েদের ক্রিকেটে বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে, এশিয়া কাপ জিতেছে ওরা, অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিশ্বকাপ জিতেছে। ছিটেফোঁটা সাফল্য আছে। তবে জনপ্রিয়তা অনুযায়ী যে পারফরম্যান্স বা সম্ভাবনা অনুযায়ী আমাদের অবস্থান বা শক্তি, সেই বিশ্লেষণই আমরা কখনো করিনি।
বাইরে থেকে এসব নিয়ে আক্ষেপ ছিল আমার। এরপর এখন বৃত্তের ভেতরে এসে দেখলাম, আমরা এখনো ঢাকার বিভিন্ন লিগের ৭৬টি ক্লাব নিয়েই পড়ে আছি। আজকে যত ধরনের সমস্যা…ব্যক্তিগত সমস্যা, অনেকগুলো দল হয়ে যাওয়ার সমস্যা, আরও অনেক সমস্যা হচ্ছে এসব ক্লাব নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণেই। আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি আমাকে বলেছিলেন, ‘তুমি যদি ক্রিকেট বাঁচাতে চাও, তাহলে ক্লাবগুলোর নিবন্ধনের নীতিমালাগুলো ঠিকঠাক করো।’
আমার কাছে মনে হয়, ক্রিকেটকে ক্রিকেটের মত এগিয়ে নেওয়া উচিত। সহজভাবে ক্রিকেটের ভাষায় বললে—সবাই ব্যাটিং করবে, সবাই বোলিং করবে, সবাই ফিল্ডিং করবে। ঢাকার বাইরে সব জায়গায় ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে যেটা মনে হয়, তা হল ‘পিপল’। এখন আমাদের প্রয়োজনীয় জায়গায় উপযুক্ত মানুষ নেই।
একটা সময়, আমরা যখন ছোট ছিলাম, এলাকায় এলাকায় ‘আনসাং হিরো’ ছিলেন, যারা কাজ করতেন মনপ্রাণ দিয়ে। যেমন আমার কোচ ছিলেন বশির ভাই, তিনি টিউশনি করে মাসে ১২০ টাকা পেতেন। ওই টাকা দিয়ে আমাদেরকে তিনি কেডস কিনে দিয়েছিলেন, ৬০ টাকা করে দুজনের ১২০ টাকার কেডস।
ওই ধরনের মানুষের সংখ্যা এখন অনেক কমে গেছে। ওই ধরনের মানুষ তৈরি করতে ক্রিকেট বোর্ডের যে দায়িত্ব ছিল, সেটা আমরা করতে পারিনি।
ভারতের দিকে তাকান, ৩০টির বেশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ওদের আছে। আরও অনেক ভালো মাঠ আছে। তারপরও ওদের ক্ষুধাটা দেখেন, ওরা পাগল হয়ে আছে কীভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করা যায়। ওই অঞ্চলটা একটু দূরে। আইসিসিতে কাজ করার সময় আমি নিজেও ওদের সঙ্গে আলাপ করেছিলাম এটা নিয়ে। ওই অঞ্চলেও তো ভবিষ্যতের গাভাস্কার-টেন্ডুলকার থাকতে পারে।
ওরা এসব ভাবে। আমাদের ভেতর ওই তাড়না নেই। বরগুনায় যে ছেলেটা প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়, তার যে মানসিক শক্তি, তাকে কেন ক্রিকেটে আনতে পারব না আমরা? পার্বত্য চট্টগ্রামের ছেলেমেয়েদের কেন আমরা আনতে পারব না ক্রিকেটে? আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের একটি বিশেষত্ব হল, ওদের শরীরের নিচের অংশ প্রকৃতিগতভাবেই শক্তিশালী। আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ নিয়মিত পাহাড়ে ওঠানামা করে। তাদের শক্তির জায়গা আছে, আমরা কেন সেটা কাজে লাগাতে পারব না?
এই চেষ্টা আমরা কখনো করিনি। এসব ঠিকঠাক করার স্বপ্ন দেখি আমি। নিজের বিজ্ঞাপন করতে চাই না। তবে সব জায়গায় ক্রিকেট পৌঁছে দেওয়াই আমার লক্ষ্য। বৃত্তের বাইরে থেকে যা দেখেছি, যে জায়গাগুলো খালি, বৃত্তের ভেতরে এসে ওই কাজগুলোই করে যেতে চাই। বোর্ডে আমার যে দল আছে, বোর্ডের বাইরে যারা আছেন, নির্বাচন করতে গিয়ে একটি বিরোধী পক্ষও হয়ে গেছে, তাদের সবাইকে নিয়েই কাজগুলো করতে চাই।
একটি বড় বার্তা দেওয়ার কথা যদি বলি, আমাদের সম্ভাবনার কথাই আমরা জানি না। শক্তির জায়গা আমরা জানি না। আমি সেই পথে ছুটতে চাই।
এখনো অনেকে ক্রিকেট খেলে। অনেকে না খেললে তো এত ক্রিকেটার আমরা পেতাম না। মুস্তাফিজুর রহমান তো ধানখেতে খেলেই উঠে এসেছে। তবে আরও বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। সবাই যেন ক্রিকেট খেলে এবং তাদেরকে যেন একটা সংগঠিত কাঠামোর আওতায় আনা যায়। সেরা মেধাগুলো যেন বেরিয়ে আসে।
সেই খেলাগুলো যেকোনো সংস্করণে হতে পারে। তবে আঞ্চলিক খেলাগুলো আমি বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট করতে চাই। সলিড ভেন্যুতে ৯০ ওভার খেলবে, উঠতি ছেলেমেয়েরা বা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ছেলেমেয়েরা খেলবে। আজকে ভারতের তরুণ প্রতিভা ইয়াশাসভি জয়সওয়াল বলুন বা আভিষেক শর্মা—এরা ছোট থেকে বড় বড় ইনিংস খেলে বেড়ে ওঠে। অভ্যাসটা সেভাবে গড়ে ওঠে। আমি চাই সবাইকে সংগঠিত ক্রিকেটের আওতায় আনতে, যেন তাদেরকে গড়ে তোলা যায়।
দেশব্যাপী ক্রিকেটের শিক্ষক রাখব আমরা। ক্রিকেটের শিক্ষক বলতে, লেভেল-১ কোচ থাকবে দেশজুড়ে। একটা পর্যায়ের মৌলিক সুবিধা থাকবে সবার। ক্রিকেট নিয়ে আনন্দ করবে সবাই, কিন্তু একটা লাইন থাকবে, সেটি হল প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে হবে। আমার দরকার অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ১০০ ভালো ক্রিকেটার, পরবর্তী ধাপে ১০০ ভালো ক্রিকেটার, জাতীয় দলের জন্য ৬০-৭০ ভালো ক্রিকেটার।
ভালো ক্রিকেটার বলতে বোঝাচ্ছি, যদি ৬০ জন ক্রিকেটার ধরা যায়, মানে চারটি দল। যেটির মানে চার দলে আটজন সলিড ওপেনার, আটজন ভালো তিন নম্বর ব্যাটসম্যান—এ রকম সব পজিশনের ব্যাটসম্যান-বোলার অন্তত আটজন করে থাকবে। তার মানে, যথেষ্ট বিকল্প থাকবে। একটা উদাহরণ দিই। চীনে যেমন এক নম্বর টেবিল টেনিস খেলোয়াড় যদি কোনো কারণে খেলতে না পারে, পরের যে সাতজন আছে, তারা একই রকম ভালো। আমাদের ক্রিকেটেও এভাবে যথেষ্ট ভালো বিকল্প গড়ে তুলতে চাই।
পাশাপাশি ক্রিকেটের যে বাণিজ্যিক প্রবাহ, ডিজিটাল প্রবাহ, আর্থিক প্রবাহ—এগুলোও শক্তিশালী করে তুলতে চাই, যাতে মূল সাপোর্ট সিস্টেম ঠিক থাকে।
এতটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে পারছি; কারণ, গত ১০ বছরে আইসিসি ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে, হাই পারফরম্যান্স, ট্রেনিং এডুকেশন—সবকিছু থেকে অনেক দেখেছি। মূল যে ২০টি দেশ খেলছে ক্রিকেট, এর বাইরেও যে সহযোগী দেশগুলোর বিশাল দুনিয়া, এদের কিন্তু আইসিসি থেকে টাকা আদায় করে নিতে হয়। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো তো নির্দিষ্ট বরাদ্দ নিয়মিতই পায়। কিন্তু নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, নেপাল—সব সহযোগী দেশ কিন্তু টাকাগুলো অর্জন করে নেয়। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য কিছু অনুদান তারা পায়, সেটা সবাই পায় না। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৪০ দলের মধ্যে থাকলে কিছু টাকা পায়। তবে মূল টাকা তারা অর্জন করে নেয়। সেটার কিছু মানদণ্ড আছে। ক্রিকেটারের সংখ্যা, জুনিয়র ক্রিকেটার ও মোডিফায়েড ক্রিকেটারের সংখ্যা, আম্পায়ার-কোচের সংখ্যা, সুযোগ-সুবিধা—এসব দেখিয়ে তাদের টাকাটা পেতে হয়। প্রতিবছর তাদের একটি অর্গানোগ্রাম জমা দিতে হয়। তাদের বার্ষিক সাধারণ সভার আলোচ্যসূচি জমা দিতে হয়, আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে হয়, পরিচালন পরিকল্পনা জমা দিতে হয়। তারপর তারা টাকা পায়।
প্রতিটি দেশের এসব প্রতিবেদন দেখতে দেখতে ওসব আমার মুখস্থ হয়ে গেছে। এ জন্য ক্রিকেট বোর্ডকে একটি বিশ্বমানের সংস্থায় পরিণত করার কাজটি আমার কাছে খুব কঠিন মনে হয় না। এসবের জন্য ৪০-৪৫ ভাগ কাজ হয়েই গেছে। একটি সংস্থাকে আমরা নিয়োগ দিয়েছি, যারা কাজ করছে।
স্বপ্নের সীমানা ছুঁতে আমার চেষ্টার কমতি থাকবে না।

