কৃষকের উৎপাদন খরচ ও লাভ বিবেচনা করে আমন ক্রয়ের মূল্য নির্ধারণ করার কথা বলেছেন আলী ইমাম মজুমদার।
সংগৃহিত
রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলকে দেশের খাদ্য ভাণ্ডার বলে খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, চলতি মৌসুমে আমনের ফলন ভালো হবে এবং নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে।
সোমবার রাজশাহী সার্কিট হাউসে রাজশাহী বিভাগের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং আমন সংগ্রহের প্রস্তুতি নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
কৃষকদের স্বার্থে সরকার নিয়মিত ভর্তুকি দিয়ে আসছে জানিয়ে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “কৃষকের উৎপাদন খরচ ও লাভ বিবেচনা করে আমন ক্রয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। সেইসঙ্গে চাল সংগ্রহে এবার মানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে।
“আমন সংগ্রহ অভিযান কীভাবে সফল করা যায়, তা নিয়ে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সুবিধা-অসুবিধা চিহ্নিত করা হয়েছে।”
বর্তমান সরকার খাদ্যশস্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় থাকবে বলে মনে করেন খাদ্য উপদেষ্টা।
খাদ্য মজুদ সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে দাবি করে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। এ সময় পর্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য মজুত অতীতের তুলনায় বেশি থাকবে।
“কিছু চাল আমদানি করতে হতে পারে, তবে আগের বছরের তুলনায় তা অনেক কম। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সর্বোচ্চ চার লাখ টন চাল আমদানি করতে হতে পারে।”
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রাজশাহী বিভাগের আট জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা উপস্থিত ছিলেন।