ঘরের মাঠের অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী দলটির পেস বোলিং গ্রেট গ্লেন ম্যাকগ্রা।
Published : 08 Aug 2025, 05:15 PM
প্রায় দেড় দশক ধরে অস্ট্রেলিয়ায় কোনো টেস্ট ম্যাচ জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। তাসমান সাগর পারের দেশটিতে অনুষ্ঠেয় আসছে অ্যাশেজ সিরিজে তাই ইংলিশদের তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না গ্লেন ম্যাকগ্রা। অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলিং গ্রেটের মনে হচ্ছে, এবার সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করবে তার উত্তরসূরিরা।
গত ৮ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এই সিরিজের ট্রফি, বিখ্যাত সেই ‘ছাইদানি’ অস্ট্রেলিয়ার কাছে। ঘরের মাঠে সবশেষ সিরিজে সেটি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেনি ইংল্যান্ড। ২০২৩ সালে দুই দলের সিরিজটি ২-২ ড্র হয়, তাতে ট্রফি ধরে রাখে অস্ট্রেলিয়া।
এবার তো লড়াইটা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। যেখানে ২০১০ সালের পর কোনো টেস্ট ম্যাচ জেতেনি ইংল্যান্ড। তাই অ্যাশেজের আসছে লড়াইয়ে তাদের ‘ছাইদানি’ জেতার পক্ষে বাজি ধরার লোক খুব একটা থাকার কথা নয়।
অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জেতা তো দূরের কথা, ইংল্যান্ড কোনো ম্যাচ জেতে কিনা সেটা দেখতে রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষা করছেন ছয়টি অ্যাশেজ জেতা ম্যাকগ্রা। বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভে আলাপচারিতায় অ্যাশেজ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন তিনি।
“আমার ভবিষ্যদ্বাণী করার ঘটনা খুবই বিরল, তাই না? আর আমি ৫-০ (অস্ট্রেলিয়ার জয়) ছাড়া অন্য কিছু বলতে পারছি না।”
“আমাদের দল নিয়ে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। ঘরের কন্ডিশনে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হেইজেলউড ও ন্যাথান লায়ন যখন দুর্দান্ত পারফর্ম করবে, তখন এখানে খেলা বেশ কঠিন। সঙ্গে ইংল্যান্ডের রেকর্ড তো আছেই। তারা কোনো টেস্ট জিততে পারে কিনা, এটা দেখা হবে রোমাঞ্চের।”
ঘরের মাঠে সবশেষ অ্যাশেজে (২০২১-২২) ইংল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। নিজ আঙিনায় গত ২০ টেস্টের মধ্যে কেবল দুটিতে হেরেছে তারা, জয় ১৫টি ও ড্র তিনটি।
পার্থে আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের পাঁচ টেস্টের লড়াই। দ্বিতীয়টি ব্রিজবেনে, শুরু ৪ ডিসেম্বর। পরের তিন ম্যাচ শুরু হবে যথাক্রমে ১৭, ২৬ ডিসেম্বর ও ৪ জানুয়ারি; ভেন্যু যথাক্রমে অ্যাডিলেইড, মেলবোর্ন ও সিডনি।