এক সপ্তাহের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের বড় তিন ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি এল।
হতে সংগৃহিত
দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক দিনের একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ‘জনমনে যে উদ্বেগ’ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিটি ঘটনা ‘গভীরভাবে তদন্ত’ করছে বলে জানিয়েছে সরকার।
শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, মানুষের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ অবলম্বন করা হচ্ছে।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি এল।
এর আগে এক সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম ও ঢাকার মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ পাওয়া গেলে সরকার ‘তাৎক্ষণিক ও দৃঢ়’ পদক্ষেপ নেবে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা উসকানির মাধ্যমে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করার সুযোগ দেওয়া হবে না।”
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর সতর্ক করে বলেছে, “আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যদি এসব অগ্নিকাণ্ড নাশকতা হিসেবে প্রমাণিত হয়, এবং এর উদ্দেশ্য হয় জনমনে আতঙ্ক বা বিভাজন সৃষ্টি করা, তবে তারা সফল হবে কেবল তখনই, যখন আমরা ভয়কে আমাদের বিবেচনা ও দৃঢ়তার ওপর প্রাধান্য দিতে দেব।”
বিবৃতিতে বলা হয়, ”বাংলাদেশ অতীতেও বহু কঠিন সময় অতিক্রম করেছে। আমরা ঐক্য, সংযম ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যেকোনো হুমকির মোকাবিলা করব। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”
